শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন

লালমনিরহাটে হত্যা মামলার আসামীর সাথে পুলিশ সুপারের নৈশভোজ, প্রতিবাদ করায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ

লালমনিরহাটে হত্যা মামলার আসামীর সাথে পুলিশ সুপারের নৈশভোজ, প্রতিবাদ করায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:: লালমনিরহাটের মোস্তফিতে একটি হিমাগারে জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলার আসামী আ.লীগ নেতা আখের আলীর সাথে একই টেবিলে পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম নৈশ্যভোজ করায় ক্ষুদ্ধ বিএনপি নেতা-কমীসহ জনতা। আওয়ামীলীগ নেতার নৈশভোজে অংশ নিয়ে তোপের মুখে পড়েন লালমনিরহাটের এসপি ও ওসি। প্রতিবাদ করলে পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়। বর্তমানে তারা লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোস্তফিহাট এলাকায় জেলা পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, সদর থানার ওসি আব্দুল কাদের সহ পুলিশের বেশ কয়জন কর্মকর্তা ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলার আসামি আখের আলীর আমন্ত্রণে নৈশভোজে অংশ নেন। পরে বিএনপি নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পরে উল্টো তাদের লাঠি পেটা করে কয়েকজনকে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে সেখানে অতিরিক্ত নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে লালমনিরহাট রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করলে আটককৃতদের ছেড়ে দিয়ে চলে যায় পুলিশ।

এ ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ করে বুধবার বিকেলে বিক্ষোভ কর্মসুচির ঘোষণা করেছে স্থানীয় বিএনপির।

লালমনিরহাটে হত্যা মামলার আসামীর সাথে পুলিশ  সুপারের নৈশভোজ, প্রতিবাদ করায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ

এ ঘটনায় বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানের পলাতক আসামী আখের আলী তার নিজস্ব কোল্ডস্টোরেজে রাতের খাবারের আমন্ত্রণ জানান পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলামসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাদের। বিষয়টি জানতে পেরে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ ও ছবি তুললে পুলিশ তাদের উপর চড়াও হয়। এ সময় পুলিশ বিএনপির কয়েকজনকে লাঠি ও রড দিয়ে মারধর করে। পরে সেখান উপস্থিত হোন জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার। তাকে দেখে পুলিশ আরো উত্তেজিত হয়ে তাকেসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে আহত করে আটকে রাখে।

বিষয়টি বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে চাউর হলে পরে স্থানীয় বিএনপি, সেচ্ছাসেবকদল, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা টায়ার জালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় তারা পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসি ও ডিবির ওসির প্রত্যাহার চেয়ে স্লোগান দেন।

জেলা সেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার জানান, পুলিশের কর্মকর্তা ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে আসামিদের ছেড়ে দিয়ে উল্টো তাকেসহ ১৫ নেতাকর্মীকে আহত করে ও কয়েকজনকে আটক করে। পরে তোপের মুখে পরে আমাদের ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। পুলিশের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য আমনা ধিক্কার জানাই। আজ বুধবার বিকেলে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করবে।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি আব্দুল কাদেরের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি ফোন কেটে দিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com